কিছুদিন ধরে প্রতিদিন, প্রায় প্রতিদিন আমাদের দেখা হয় চোখের আড়ালে গেলে নিজস্ব প্রহরী- ছায়া বলে ডাকি যাকে জন্ম-লগ্ন থেকে। মেঘের অস্থির জটা ঢেকে দিলে নিকানো উঠান শহুরে বয়সী কাক গ্রীবা তুলে আনমনে চোখ রাখে জানালার কাঁচে, বাতাসে ঝাঁকায় মাথা বর্ষীয়সী বট –- বুকে পুষে ফেরারি তক্ষক। তখন মৈনাক ছেড়ে নেমে আসে গেরুয়া বসনে বৃত জটাধারী অদৃশ্য জনৈক।
"কি বৃত্তান্ত বল দেখি" বলে স্মিত হাস্যে কাঁধে রেখে হাত দশটি মোহন বাঁশী ছুড়ে দেয় বুকের খাঁচায়। অস্থির পিয়ানো বাজে জামালের১ আঙ্গুলের ঘ্রাণে, শূন্যে ভাসে নৃত্যরত ইদ্রিসের২ ড্রাম - এবং হাসন রাজা আনমনে রামপাশা ছেড়ে হঠাৎ উঠেন গেয়ে নেচে নেচে ''“আউলা বাউলা পিরীতের গানা”'', সাথে বাজে বিশ্ব জুড়ে বৃষ্টির সরোদ।
------------------------------------------------------------------ ১ ইদ্রিস মুহাম্মদ - বিখ্যাত আমেরিকান জ্যাজ ড্রামার ২ আহম্মদ জামাল - বিখ্যাত আমেরিকান জ্যাজ পিয়ানোবাদক
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমেদ সাবের
ধন্যবাদ নাহিদ। যতি চিহ্নের কি একটু গোলমাল হয়ে গেল? এখানে "ছায়া" কেই নিজস্ব প্রহরী বলা হচ্ছে, যার সাথে দেখা হয়, তাকে নয়। ছায়া "চোখের আড়ালে গেলে" বলতে "অন্ধকার নামা" কে বুঝানো হয়েছে।
খন্দকার নাহিদ হোসেন
সাবের চাচা, কবিতা সুন্দর। অনেক সুন্দর। তবে এক জাগায় মিলিয়ে পড়তে পারছি না। মানে- "আমাদের দেখা হয় চোখের আড়ালে গেলে নিজস্ব প্রহরী-
ছায়া বলে ডাকি যাকে জন্ম-লগ্ন থেকে।" এ দু লাইনের মাঝে যোগসূত্র আর একটু পোক্ত হলে বেশ হয়।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।